পবিত্র মক্কা মদিনার দিনগুলি : (পর্ব ৮)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ মুজিবুল হক ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৪৫:১০ রাত

আজ ১২ই জিলহজ্ব ২৮শে অক্টোবর ২০১২ রবিবার. জামারাহ'তে পাথর ছোড়ার শেষ দিন. তবে আজ পাথর মারার সময় শুরু হবে বেলা ১২টার কিছু সময় পর..

বেলা ১১টায় আমাদের কাফেলার প্রায় ২০ জন হাজী সকাল ১০টায় জামারাহর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম. গতকালের পথ ধরেই প্রথম ট্যানেলের মুখে প্রবেশ করতেই ভীড়ের ঠেলায় কে কোথায় গেল খুঁজে পাওয়া গেলনা. আজ ভীড়ের পরিমাণ গতকালের চাইতে অনেক বেশি. ভীড় একটু হালকা হতেই কৃষ্ণ বর্ণের কয়েকজন আফ্রিকান হাজীকে বিপরীত দিক থেকে এমন ভাবে ছুটে আসতে দেখলাম মনে হলো তাদের দেশে যাবার জাহাজ অথবা বিমান ছেড়ে দিয়েছে. হজ্ব একটি সহিষ্ণুতা পূর্ণ একাগ্রতা ও সম্মিলিত ইবাদত হলেও কৃষ্ণ বর্ণের আফ্রিকান হাজীরা এর থোড়াই কেয়ার করে. হোক পুরুষ কিংবা নারী, কিংবা যুবক বা বৃদ্ধ সবারই একই অভ্যাস অন্য হাজীদের অসুবিধা সৃষ্টি করে অথবা অহেতুক শারীরিক শক্তি প্রদর্শন করে বেশ আনন্দ পায় বলে মনে হয় তাই অন্য মহাদেশের হাজীরা এদের কাছ থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করে. যাই হোক ভীড় ঠেলে বেলা একটায় জামারাহ'য় পৌঁছি.আমি প্রথমে আমার এবং পরবর্তীতে মায়ের ও আরেকজন বয়স্ক মুরব্বী হাজীর পাথর ছুড়ে জামারাহ'কে শেষ বারের মতো দেখে পুনরায় হজ্ব করার আশা নিয়ে পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামের দিকে রওয়ানা শুরু করি. পবিত্র আরাফাত, মুজদালিফা ও মিনা হয়ে জামারাহ রুটের রেল স্টেশনটিও দেখলাম. আজ পবিত্র মিনার দিক হতে পাথর নিক্ষেপ করতে আসা হাজীর চাপ নেই সব ভীড় এক মুখী অর্থাৎ পবিত্র মক্কার কেন্দ্রস্হল হতে ভীড় শুরু হয়ে তা আবার পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামে মিলিত হয়েছে আমি জনস্রোতের সাথে পবিত্র মসজিদুল হারামের দিকে হেঁটে চলেছি আজ কিছুতেই পথ হারানো চলবেনা. কিন্তু ভাগ্যে যা হবার কথা তা তো হবেই তাই আজও পথ হারালাম পথঘাট দেখে মনে হচ্ছে গতকাল যে পথে এসেছি এটা সে পথ নয়. আশেপাশের মানুষ জনের কাছে জিজ্ঞাসা করে বিকাল ৩টার পর পবিত্র মসজিদুল হারামে পৌঁছে জোহরের নামাজ পড়ি এর কিছুক্ষণ পর আছরের আজান হয় অতপর আছরের নামাজ আদায় করে হোটেলে ফিরে আসি আর এর মাধ্যমেই সুসম্পন্ন হয় আমাদের হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা... মাগরিবের নামাজের কিছু সময় আগে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করলাম. নামাজ শেষে মামাতো বোনের স্বামী সালাউদ্দীন মক্কা টাওয়ারে কেএফসি রেস্টুরেন্টে নিয়ে ইচ্ছা মত খাওয়াল. এই টাওয়ারের চতুর্থ তলায় কয়েকশ রেস্টুরেন্ট আছে সব কটি রেস্টুরেন্টই গ্রাহকে পরিপূর্ণ. এরপর দুজনেই একসাথে কুতুবের দোকানে যাই অনেক আত্মীয়ের সাথে সাক্ষাত হয় .পরে এশার নামাজ শেষে সালাউদ্দীনকে বাহারার উদ্দেশ্য বিদায় দিয়ে

আমি হোটেলে ফিরে আসি........।

বিষয়: বিবিধ

১১৩৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343440
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:২৭
শেখের পোলা লিখেছেন : বেশ কয়েকটি পর্বে অনেক অজানা তথ্য জানা হল। আপনাকে ধন্যবাদ৷
343482
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হজ এর অভিজ্ঞতা ডিটেইল শুনতেই ভাল লাগে।
347432
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আবারও ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File